একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দেশ মাতৃকার উন্নয়নে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করণ, মানসম্পন্ন ও বাস্তবভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৫ খ্রিঃ চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত কচুয়া উপজেলায় সবুজঘেরা এক মনোরম পরিবেশে। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন। ইহা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। মূলত এই ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা-ইন- ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির সনদ প্রদান করা হয়।
এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের আয়তন ২ একর। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ টি ভবন রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক এবং একটি একাডেমিক ভবন, দুইতলা বিশিষ্ট দুইটি ওয়ার্কশপ ভবন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ল্যাবসুবিধা এবং মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি কমন রুম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত লাইব্রেরি এবং অধ্যয়ন কক্ষও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা ও মননশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে বিজ্ঞান এবং কালচারাল ক্লাব গঠণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্টানে পাঁচটি (০৫) টেকনোলজিতে দুইটি আলাদা শিফটে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। শিফট দুটি হচ্ছে সকালের শিফট (সকাল ৮:০০ থেকে দুপুর ১:১৫ পর্যন্ত) এবং বিকেলের শিফট (দুপুর ১:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬:৪৫ পর্যন্ত)। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার এবং কন্সট্রাকশন টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর মাধ্যমে এর শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। তারপর ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এবং ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি নামে আরো দুটি বিভাগ চালু করা হয়। সর্বশেষ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে সিভিল টেকনোলজি নামে আরো একটি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। এই ইন্সটিটিউটের মোট আসন সংখ্যা ৬০০ টি। যার মধ্যে কম্পিউটার টেকনোলজি ১০০, কন্সট্রাকশন টেকনোলজি ২০০, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং টেকনোলজি ১০০, ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি ১০০ এবং সিভিল টেকনোলজিতে ১০০ টি করে আসন রয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৩০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।
অত্র ইন্সটিটিউটে নিয়মিত শিক্ষকের পদ রয়েছে ১১২ টি। যার মধ্যে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক রয়েছে ১২ জন। এছাড়াও সদ্য সমাপ্ত স্টেপ প্রকল্পের ২০ জন শিক্ষক আছেন। প্রশাসনিক এবং একাডেমিক কার্যক্রম সূচারুভাবে পরিচালনার জন্য ৪২ জন স্টাফ রয়েছে। সর্বোপরি, এই ইন্সটিটিউট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন জনবল তৈরিতে বদ্ধ পরিকর। জয় বাংলা।